রাস্তায় চলার পথে হঠাৎ করে যদি দেখেন কেউ কোনো সমস্যায় পড়েছে আপনি কি নিজে থেকে তাকে সাহায্য করবেন?
হয়তো করবেন অথবা করবেন না। আসলে আমাদের সবার বিনা স্বার্থে কারো উপকার করার মানসিকতা থাকেনা। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক মহান ব্যাক্তি আছেন যারা নিঃস্বার্থে অন্যের উপকার করে গেছেন।
মাদার তেরেসা তাদের মধ্যে একজন। আমরা অনেকেই তার আদর্শকে বহন করতে চাই, কিন্তু প্রকৃতঅর্থে আমরা আসলে কি তার দেখানো পথে চলি?
আজ এমন একজন নারীর কথা জানাবো যিনি মাদার তেরেসাকে শুধুমাত্র নিজের আদর্শ হিসেবে মেনে থেমে থাকেনি, বরং তিনি মাদার তেরেসার মতোই অন্যের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
মহীয়সী সেই নারীর নাম অনুরাধা কৈরালা। ১৯৪৯ সালের ১৪ এপ্রিল তার জন্ম।
ভারতের কালিম্পং জেলার একটি হিল স্টেশনে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই তিনি পরিবারের কাছে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করার শিক্ষা পেয়েছেন। সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলের মাদার এবং সিস্টাররা তাকে সামাজিক কাজকর্মে আরো অনুপ্রাণিত করেন।
নব্বইয়ের দশকের দিকের ঘটনা এটি, চারপাশে নারী ও শিশু পাচার, যৌন নির্যাতন এসব তাকে খুব ভাবাতো। তিনি এসব নারী শিশুসহ যেসব নারীরা নিজ পরিবারে অত্যাচারের স্বীকার হন তাদের জন্য কিছু করবেন বলে ঠিক করেন।
তিনি প্রতিদিন সকালে কাঠমুণ্ডুর পশুপতিমাথ মন্দিরে যেতেন। যাওয়ার পথে নারীদের ভিক্ষা করতে দেখতেন। তিনি সেসব নারীর সঙ্গে কথা বলে তাদের জীবন সম্পর্কে জানতেন। কথা বলার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত।
জীবনের একটা সময়ে অনুরাধা কৈরালা নিজেই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তার স্বামী প্রায়ই তাকে মারধোর করতেন যার ফলে তার তিনবার গর্ভপাত ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে তার কার কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া উচিত সেটা তার জানা ছিলোনা। অনেকদিন তিনি এসব অত্যাচার চুপচাপ মেনে নেন। কিন্তু তার তৃতীয় গর্ভপাতের সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
নির্যাতনের শিকার অনুরাধা তার মতো নির্যাতিতদের কথা শুনে বুঝতে পারলেন তারাও অনুরাধার মতো সঠিক জ্ঞান এবং সহায়তার অভাবে সব নির্যাতন মেনে নিয়ে জীবন পার করছে।
নারীদের নিয়ে পথ চলার তার সফরটি এখান থেকেই শুরু। তিনি কথা বলা ওসব নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিনি ওই নারীদের ভিক্ষা ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে আর্থিক সাহায্য করার কথা দেন। তার এই কথায় মাত্র আটজন নারী সাড়া দেন। তিনি ওই নারীদের প্রত্যেককে ১০০০ রুপি করে দেন যাতে তারা ছোট দোকান করে নিজেদের ভরণ-পোষণ করতে পারে।
তারা দোকান থেকে প্রতিদিন যা লাভ করতো অনুরাধা সেখান থেকে দুই রুপি করে নিতেন এবং সেই টাকা দিয়ে আরো কিছু সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সাহায্য করতেন। অনুরাধা নিজে খুব কম আয় করতেন তবে সেখান থেকেও তিনি অসহায় নারীদের সাহায্যে কোনো ত্রুটি রাখতেন না।
১৯৯৩ সালে অনুরাধা 'মাইতি নেপাল' নামক একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত ২৬ বছর ধরে নির্যাতিত নারী এবং শিশুদের জন্য এই সংস্থাটি কাজ করে চলেছে। নেপালি ভাষায় 'মাইতি' শব্দের অর্থ 'মায়ের বাড়ি'।
কিছু নারী আছে যাদের নির্যাতন মেনে নেয়ার আরেকটি কারণ ছিল যে,তারা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেয়ে থাকবেন। এই সমস্যার সমাধানে ওই মূহুর্তে থাকার জন্য একটি বাড়ির প্রয়োজন ছিল।
২০ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৯৩ সাল থেকে নারী-শিশু পাচার এবং মাইতি নেপাল প্রতিষ্ঠার কাজে পুরোপুরি নেমে পড়েন তিনি।
তার চেষ্টা বিফলে যায়নি। 'মাইতি নেপাল' এর বর্তমানে ৩টি নিবারণ কেন্দ্র, ১১ টি পরিবহন কেন্দ্র, দু'টি ধর্মশালা এবং একটি স্কুল রয়েছে। যেসকল নারী ও শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয় তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে কাজ করে তারা। যারা এইচ আইভি ভাইরাসে আক্রান্ত সংস্থাটি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে।
অনুরাধা তার সংস্থার সহায়তায় নারী-শিশু পাচার করার জন্য নেপালের বর্ডারে কয়েকটি পরিত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। ভারত ও নেপালের বর্ডারে এরকম প্রায় ২৬ টি কেন্দ্র আছে।
১৮ হাজারের বেশি নারীকে সংস্থাটি পাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ২০১২ সালের 'দ্যা গ্লোবাল লিডারশিপ কনফারেন্সে' অনুরাধা এই তথ্য দেন। প্রায় ১ হাজার শিশুর থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থাও করেছে সংস্থাটি।
অনুরাধা কৈরালার কাজের কথা প্রচার হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তার প্রাপ্তির তালিকাটি বেশ ভারী। এখন পর্যন্ত নিজের কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি ৩৮ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি হল 'পদ্মশ্রী' যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
এছাড়া তার জেতা আরো কয়েকটি পুরষ্কার হলো - প্রবাল গোর্খা দক্ষিণ বহু পদক ১৯৯৯, ত্রিশক্তিপত্ত অ্যাওয়ার্ড ২০০২, বেস্ট সোশ্যাল ওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা ইয়ার-নেপাল ২০০৭, জার্মান ইউনিফেম প্রাইজ ২০০৭, কুইন সোফিয়া সিল্ভার মেডেল অ্যাওয়ার্ড ২০০৭,দ্যা পিস আবে এবং কারেজ অব কনশাস ২০০৬।
২০১০ সালে তাকে 'সিএনএন হিরো অব দ্য ইয়ার' ঘোষিত করা হয়। তিনি যাতে কোনো বাধা ছাড়া তার এই কাজ চালিয়ে যেতে পারেন তাই তাকে ১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হয়।
অনুরাধার সংগ্রামের জন্য নেপাল সরকার ৫ সেপ্টেম্বরকে 'পাচারবিরোধী দিবস' ঘোষণা করেন। অনুরাধাকে তার কৃতিত্বের জন্য একসময় নারী-শিশু এবং সামাজিক কল্যাণ বিভাগের সহযোগী প্রাদেশিক মন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়।
অনুরাধা কৈরালা সমাজের নির্যাতিত নারী এবং শিশুদের জন্য যেভাবে কজ করে যাচ্ছেন সেটা সত্যিই আমাদের জন্য এক অসাধারণ অনুপ্রেরণা। হাজার অনাথ শিশুর মা তিনি। মহীয়সী এই নারীর এসকল কাজের জন্য তাকে 'নেপালের মাদার তেরেসা' বলা হয়।
তিনি যেভাবে নিঃস্বার্থ ভাবে দুস্থ ও অসহায় নারী শিশুদের নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে সাহায্য করেছেন তাতে বলা যায় যে তাকে দেয়া উপাধিটি তার অর্জন।
হয়তো করবেন অথবা করবেন না। আসলে আমাদের সবার বিনা স্বার্থে কারো উপকার করার মানসিকতা থাকেনা। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক মহান ব্যাক্তি আছেন যারা নিঃস্বার্থে অন্যের উপকার করে গেছেন।
মাদার তেরেসা তাদের মধ্যে একজন। আমরা অনেকেই তার আদর্শকে বহন করতে চাই, কিন্তু প্রকৃতঅর্থে আমরা আসলে কি তার দেখানো পথে চলি?
আজ এমন একজন নারীর কথা জানাবো যিনি মাদার তেরেসাকে শুধুমাত্র নিজের আদর্শ হিসেবে মেনে থেমে থাকেনি, বরং তিনি মাদার তেরেসার মতোই অন্যের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
মহীয়সী সেই নারীর নাম অনুরাধা কৈরালা। ১৯৪৯ সালের ১৪ এপ্রিল তার জন্ম।
ভারতের কালিম্পং জেলার একটি হিল স্টেশনে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই তিনি পরিবারের কাছে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করার শিক্ষা পেয়েছেন। সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলের মাদার এবং সিস্টাররা তাকে সামাজিক কাজকর্মে আরো অনুপ্রাণিত করেন।
নব্বইয়ের দশকের দিকের ঘটনা এটি, চারপাশে নারী ও শিশু পাচার, যৌন নির্যাতন এসব তাকে খুব ভাবাতো। তিনি এসব নারী শিশুসহ যেসব নারীরা নিজ পরিবারে অত্যাচারের স্বীকার হন তাদের জন্য কিছু করবেন বলে ঠিক করেন।
তিনি প্রতিদিন সকালে কাঠমুণ্ডুর পশুপতিমাথ মন্দিরে যেতেন। যাওয়ার পথে নারীদের ভিক্ষা করতে দেখতেন। তিনি সেসব নারীর সঙ্গে কথা বলে তাদের জীবন সম্পর্কে জানতেন। কথা বলার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত।
জীবনের একটা সময়ে অনুরাধা কৈরালা নিজেই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তার স্বামী প্রায়ই তাকে মারধোর করতেন যার ফলে তার তিনবার গর্ভপাত ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে তার কার কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া উচিত সেটা তার জানা ছিলোনা। অনেকদিন তিনি এসব অত্যাচার চুপচাপ মেনে নেন। কিন্তু তার তৃতীয় গর্ভপাতের সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
নির্যাতনের শিকার অনুরাধা তার মতো নির্যাতিতদের কথা শুনে বুঝতে পারলেন তারাও অনুরাধার মতো সঠিক জ্ঞান এবং সহায়তার অভাবে সব নির্যাতন মেনে নিয়ে জীবন পার করছে।
নারীদের নিয়ে পথ চলার তার সফরটি এখান থেকেই শুরু। তিনি কথা বলা ওসব নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিনি ওই নারীদের ভিক্ষা ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে আর্থিক সাহায্য করার কথা দেন। তার এই কথায় মাত্র আটজন নারী সাড়া দেন। তিনি ওই নারীদের প্রত্যেককে ১০০০ রুপি করে দেন যাতে তারা ছোট দোকান করে নিজেদের ভরণ-পোষণ করতে পারে।
তারা দোকান থেকে প্রতিদিন যা লাভ করতো অনুরাধা সেখান থেকে দুই রুপি করে নিতেন এবং সেই টাকা দিয়ে আরো কিছু সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সাহায্য করতেন। অনুরাধা নিজে খুব কম আয় করতেন তবে সেখান থেকেও তিনি অসহায় নারীদের সাহায্যে কোনো ত্রুটি রাখতেন না।
১৯৯৩ সালে অনুরাধা 'মাইতি নেপাল' নামক একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত ২৬ বছর ধরে নির্যাতিত নারী এবং শিশুদের জন্য এই সংস্থাটি কাজ করে চলেছে। নেপালি ভাষায় 'মাইতি' শব্দের অর্থ 'মায়ের বাড়ি'।
কিছু নারী আছে যাদের নির্যাতন মেনে নেয়ার আরেকটি কারণ ছিল যে,তারা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেয়ে থাকবেন। এই সমস্যার সমাধানে ওই মূহুর্তে থাকার জন্য একটি বাড়ির প্রয়োজন ছিল।
২০ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৯৩ সাল থেকে নারী-শিশু পাচার এবং মাইতি নেপাল প্রতিষ্ঠার কাজে পুরোপুরি নেমে পড়েন তিনি।
তার চেষ্টা বিফলে যায়নি। 'মাইতি নেপাল' এর বর্তমানে ৩টি নিবারণ কেন্দ্র, ১১ টি পরিবহন কেন্দ্র, দু'টি ধর্মশালা এবং একটি স্কুল রয়েছে। যেসকল নারী ও শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয় তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে কাজ করে তারা। যারা এইচ আইভি ভাইরাসে আক্রান্ত সংস্থাটি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে।
অনুরাধা তার সংস্থার সহায়তায় নারী-শিশু পাচার করার জন্য নেপালের বর্ডারে কয়েকটি পরিত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। ভারত ও নেপালের বর্ডারে এরকম প্রায় ২৬ টি কেন্দ্র আছে।
১৮ হাজারের বেশি নারীকে সংস্থাটি পাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ২০১২ সালের 'দ্যা গ্লোবাল লিডারশিপ কনফারেন্সে' অনুরাধা এই তথ্য দেন। প্রায় ১ হাজার শিশুর থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থাও করেছে সংস্থাটি।
অনুরাধা কৈরালার কাজের কথা প্রচার হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তার প্রাপ্তির তালিকাটি বেশ ভারী। এখন পর্যন্ত নিজের কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি ৩৮ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি হল 'পদ্মশ্রী' যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
এছাড়া তার জেতা আরো কয়েকটি পুরষ্কার হলো - প্রবাল গোর্খা দক্ষিণ বহু পদক ১৯৯৯, ত্রিশক্তিপত্ত অ্যাওয়ার্ড ২০০২, বেস্ট সোশ্যাল ওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা ইয়ার-নেপাল ২০০৭, জার্মান ইউনিফেম প্রাইজ ২০০৭, কুইন সোফিয়া সিল্ভার মেডেল অ্যাওয়ার্ড ২০০৭,দ্যা পিস আবে এবং কারেজ অব কনশাস ২০০৬।
২০১০ সালে তাকে 'সিএনএন হিরো অব দ্য ইয়ার' ঘোষিত করা হয়। তিনি যাতে কোনো বাধা ছাড়া তার এই কাজ চালিয়ে যেতে পারেন তাই তাকে ১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হয়।
অনুরাধার সংগ্রামের জন্য নেপাল সরকার ৫ সেপ্টেম্বরকে 'পাচারবিরোধী দিবস' ঘোষণা করেন। অনুরাধাকে তার কৃতিত্বের জন্য একসময় নারী-শিশু এবং সামাজিক কল্যাণ বিভাগের সহযোগী প্রাদেশিক মন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়।
অনুরাধা কৈরালা সমাজের নির্যাতিত নারী এবং শিশুদের জন্য যেভাবে কজ করে যাচ্ছেন সেটা সত্যিই আমাদের জন্য এক অসাধারণ অনুপ্রেরণা। হাজার অনাথ শিশুর মা তিনি। মহীয়সী এই নারীর এসকল কাজের জন্য তাকে 'নেপালের মাদার তেরেসা' বলা হয়।
তিনি যেভাবে নিঃস্বার্থ ভাবে দুস্থ ও অসহায় নারী শিশুদের নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে সাহায্য করেছেন তাতে বলা যায় যে তাকে দেয়া উপাধিটি তার অর্জন।

0 Comments