বাংলাদেশের খাবারের প্রতি আমার লোভ বেশি: পাওলি দাম

প্রথমবারের মতো ঢাকায় আয়োজিত হলো ‘ভারত বাংলাদেশ ফিল্মস অ্যাওয়ার্ড’ (বিবিএফএ)। বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ ও ভারতের ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে এবং টিএম ফিল্মসের নিবেদনে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে জাঁকালো এ আয়োজনে দুই বাংলার নির্বাচিত সেরা তারকাদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলা দুই বাংলার অনেক তারকা। বাংলা চলচ্চিত্রের জয়গান গাইতে এক হয়েছিলেন অনেক তারকাশিল্পী ও নির্মাতারা। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওপার বাংলার প্রসেনজিৎ, রঞ্জিত মল্লিক, জিৎ, আবির চ্যাটার্জি, পরমব্রত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পাওলি দাম, নিকিতা গান্ধি,ঋতাভরী চক্রবর্তী, অনির্বাণ, কৌশিক গাঙ্গুলি, দেবজ্যোতি মিশ্র, সৃজিত মুখার্জী, অরিন্দম শীল, বিশ্বনাথ বসু, ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত, শুভাশীষ মুখার্জিসহ এপার বাংলার মৌসুমী, জয়া আহসান, পরীমনি, ববি, পূজা চেরি, নুসরাত ফারিয়া, বিদ্যা সিনহা মীম, কোনাল, ঐশী, ইয়াসমিন লাবণ্য, ওমর সানী, ইমন, নীরব, সিয়াম, তাসকিন, ইমরান ছাড়াও অনেক তারকা উপস্থিত ছিলেন।

এরমধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে প্রথমবার এলেও ওপার বাংলার অভিনেত্রী পাওলি দাম বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন। তবে সেটা শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু এবার এলেন চলচ্চিত্রের জয়গান নিয়ে। 'কন্ঠ' ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।

পাওলি দাম বলেন, 'বাংলাদেশে আমার অনেকবারই আসা হয়েছে। এই দেশটাকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এখানে এত অসাধারণ কিছু জায়গা আছে যা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। আর একটা কথা না বললেই নয় যে, এখানকার খাবারের প্রতি আমার লোভটা অনেক বেশি। খুবই ভালোবাসি এখানকার খাবার। বিশেষ করে এই দেশের শুঁটকি ও ইলিশ মাছ আমার ভীষণ পছন্দের।

এর আগে আমি এসেছিলাম শুটিং করতে কিন্তু এবার আমরা সবাই এসেছি দুই বাংলা এক হয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর কিন্তু যৌথ প্রযোজনায় এটা প্রথম কোনো অ্যাওয়ার্ড। এটাকে আমি বলব সাহসী একটা পদক্ষেপ। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সবাই এক হয়ে কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

যৌথ প্রযোজনায় দুই বাংলায় অনেক ছবি হয়েছে। তারমধ্যে আমি নিজেই একটা ছবি করেছি ‘মনের মানুষ’। এছাড়াও বাংলাদেশের ছবি ‘সত্তা’ করেছি যেটা পরিচালনা করেছেন কল্লোল।'

২০১৮ সালের জুন থেকে চলতি বছরের (২০১৯) জুন পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর জন্য পুরস্কার আয়োজন করা হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তদের বাছাই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলমগীর, কবরী, ইমদাদুল হক মিলন, খোরশেদ আলম খসরু ও হাসিবুর রেজা কল্লোল। অন্যদিকে, ভারত থেকে ছি‌লেন গৌতম ঘোষ, ব্রাত্য বসু, গৌতম ভট্টাচার্য, অঞ্জন বোস ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।

Post a Comment

0 Comments