তিনি আরও জানান, আমি পরিবারের বড় সন্তান আমার বড় কোন ভাই বোন নাই। দুই বোনের পর এক ছোট ভাই। যে দুই বছর বয়স থেকে থ্যালাসিমিয়াতে আক্রান্ত। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর। বিগত ১৮ বছর যাবৎ শরীরে রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে আছে। চিকিৎসা খুবই ব্যয় বহুল। এই চিকিৎসার পিছনে ছুটতে গিয়ে বাবার সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ করে এখন নিঃশ্ব। কিছুদিন আগে বড় ধরনের একটা অপারেশন করতে হয়েছে, যার সম্পুর্ন খরচ আমাকে বহন করতে হয়েছে। তার মাসিক চিকিৎসা খরচ ২০০০০/২৫০০০ টাকা। বর্তমানে এই ভাইয়ের চিকিৎসা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার টা আমার উপরে নির্ভরশীল।
নীলা বলেন, আমি ছোটখাটো চাকুরি করি। আমার দুইটা সন্তান (জমজ দুই মেয়ে) আছে। তাদের খরচও আছে। তবে সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো আমার সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো হেল্পফুল না। এরজন্যই বিজনেসে আসা। এবার সামনে আগানোর চেষ্টা করছি। এ জগতে ঢুকার চেষ্টায় ঠকেছি অনেক, সাহায্য পেয়েছি খুবই কম মানুষের। তবে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহস দিচ্ছে।
অনলাইন বিজনেসে কিছু সফল নারীর সফলতার অনুপ্রেরণায় এবং সকলের সহযোগীতায় যদি আমি উঠে দাড়াতে পারি হয়তবা, আমার ভাই সুস্থ ভাবে আরও কিছুটা দিন পৃথিবীতে বেচে থাকতে পারবে। সংসারে টানাটানির হাত থেকে রেহাই পাবো, আমার বাচ্চাদের চাহিদা ঠিকমত মিটাতে পারবো। তাতে হয়তবা কিছুটা হলেও আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক বড় বড় আপুদের কাছে সাহায্য চেয়েছি পাইনি। জীবনে বড় বোন বা ভাই হলে হয়তবা নিজের কষ্টগুলো শেয়ার করতে পারতাম। সেই জায়গাটাও আমার নেই। পেইজটা একদমই নতুন, সবার কাছে অনুরোধ পেইজ টাকে বড় হতে সাহায্য করবেন। বোন হিসেবে পাশে থাকবেন। পেইজে একটা লাইক আর শেয়ার করলে আমার কষ্ট টা স্বার্থক হবে। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, তিনি 'ম্যাজিক হেয়ার টনিক' নামক একটি প্লাটফর্ম নিয়ে অনলাইনে সফল হওয়ার চেষ্টায় লড়াই করছেন প্রতিনিয়িত। অনেক ভালো কিছুর সম্ভবাবনার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনের দিকে। চুলের সমস্ত সমস্যার সমাধান ভেষজ উপাদানের মাধ্যমে করা এবং ব্যবহারকারীকে ৯৯% খুশি করাই তার মূল লক্ষ। চাইলে আপনারাও কোন দোকান থেকে ক্রয় না করে রাফিজা নীলার পেজ থেকে ক্রয় করতে পারেন। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই করা সংগ্রামী রমণীর দিকে বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনার সাহায্যের হাতটিও।
তার পেজটিতে ঘুরে আসতে চাইলে : 'ম্যাজিক হেয়ার টনিক'

0 Comments