শাড়ির জগতে প্রবেশ করলো তানিয়ার আলিয়া'স কালেকশন

সাকিব আল রোমান : ফের শাড়ির জগতে প্রবেশ করলো তানিয়ার আলিয়া'স কালেকশন। জেনিস তানিয়া। চাকরিজীবী বাবা-মায়ের আদুরে সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক শিক্ষার্থী। সৌভাগ্যবান স্বামীর ভালোবাসায় বর্তমান এক সন্তানের জননী। অনলাইন এ ব্যবসা করে ইতিমধ্যে তরুন উদ্যোক্তা হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি।

স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে বর্তমান অনলাইন ব্যবসা বেশ জমজমাট। অনেকে অনেক ধরণের ব্যবসা করছেন। জেনিস তানিয়া তাদেরই একজন। 'আলিয়া'স কালেকশন' নামে তার একটি পেজ থেকে তিনি নারীদের সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বিক্রি করেন। সততা আর আস্থায় ক্রেতাদের মন জয় করে চলেছেন এই নারী উদ্যোক্তা।

এ বিষয়ে 'নতুন সময়'-কে আলিয়া'স কালেকশন এর সিইও জেনিস তানিয়া বলেন, বর্তমানে ব্যবসাকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার চিন্তা করলেও, শুরু করেছিলাম শখ এবং মানসিক একাকিত্ব থেকে। মাকে হারিয়ে মায়ের নামেই (আলিয়া) পেজের যাত্রা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে পেজ খুলেছিলাম। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। তৎকালীন সময় একাকিত্ব অনুভব করলেও বর্তমান ৩/৪ জন কারিগর তাদের মেধার সঞ্চয় ঘটিয়ে আরও নতুনত্ব কিছু দেয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, প্রথমদিকে আমরা সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, শাল কালেকশনে রাখলেও মাঝপথে সালোয়ার-কামিজই ছিল আমাদের প্রধান পণ্য। পরবর্তীতে সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি শাড়িও ফের উঠালাম। কারণ, আমাদের বেশ কিছু গ্রাহক আছে যারা শাড়িতে আগ্রহী।

বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই নারী উদ্যোক্তা জানান, ইতিমধ্যে, দেশের বিভিন্ন জেলায় আমাদের বিচরন হয়েছে সুনামের সাথে। এমনকি দেশের বাইরেও আমাদের অনেক ক্রেতা রয়েছে। আপাতত সরাসরি দেশের বাইরে আমাদের পণ্য না পাঠাতে পারলেও বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের পণ্য দেশের বাইরে অনেক গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আলিয়া'স কালেকশন প্রাধান্য দেয় যুগোপযোগী ফ্যাশন। তবে তা হতে হবে অবশ্যই মানসম্মত এবং রুচিশীল। আমরা চেষ্টা করি কম প্রফিটে ইউনিক কালেকশন পৌঁছে দিতে সব ধরনের ক্রেতার নিকট। ক্রেতার বিশ্বাস আমাদের আস্থা। বিভিন্ন ধরনের ক্রেতার চাহিদা মেটাতে আমাদের রয়েছে বিভিন্ন বিদেশি ব্রান্ডের পোশাক। কিন্তু আমরা দেশীয় পণ্যে বেশি আস্থাশীল।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জেনিস তানিয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি কমপ্লিট করার পর আব্বুর শখ পূরণে এলএলবি শেষ করি। অনেক চাকুরির সুযোগ থাকলেও কেন যেন চাকরি করতে আমার মন কখনও রাজি হয়নি। অথচ আমার আব্বু -আম্মু দুজনেই চাকুরীজীবি ছিলেন। বর্তমানে আলিয়া'স কালেকশনকে আমার কর্মস্থল হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। এখন আমার সাথে এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও অনেকে কাজ করছেন। আমি স্বপ্ন দেখি আমার আলিয়া'স কালেকশন এক সময় অনেক বড় হবে। আমার প্রতিষ্ঠানেই হবে অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান।

আলিয়া'স কালেকশন-এ যে কারণে যাবেন : অনলাইন ব্যবসায় নতুন গ্রাহকের আস্থা বাড়াতে পোশাকের মানের পাশাপাশি আলিয়া'স কালেকশন দিচ্ছে গ্রাহককে পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুবিধা। নিচ্ছে না কোনো অগ্রিম বা আংশিক মূল্য। যদিও, এজন্য আলিয়া'স কালেকশন মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবুও আলিয়া'স কালেকশন শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় কার্পন্য করে না। উল্টো তাদের সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।

আপনি যদি আলিয়া'স কালেকশন-এর পেজটি ঘুরে আসতে চান তবে ইংরেজী শব্দে Alia's Collection লিখে সার্চ করুন।

Post a Comment

0 Comments